গাজীপুরে প্রকাশ্যে সাংবাদিক তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শনিবার সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার রবিউল হাসান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনে জানানোর কথা বলেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান (যাকে হত্যাকাণ্ডের হোতা বলছে পুলিশ), তার স্ত্রী গোলাপী, সুমন, আল আমিন, স্বাধীন, মো. শাহ জালাল (৩২), এবং মো. ফয়সাল হাসান (২৩)।
উপ-কমিশনার রবিউল বলেন, সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
এর মধ্যে গাজীপুরের সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে ফয়সাল, তার স্ত্রী গোলাপী ও সুমনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ঢাকার উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে আলামিনকে গ্রেপ্তার করেছে বাসন থানা পুলিশ। গাজীপুরের সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকা থেকে স্বাধীনকে গেপ্তার করেছে র্যাব।
এছাড়া, মামলার অন্যতম আসামি শাহ জালালকে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানাধীন চর মসলন্দ মোড়লপাড়া থেকে এবং মো. ফয়সাল হাসানকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শাহ জালাল কুমিল্লার হোমনার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুরের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে এবং ফয়সাল পাবনা চাটমোহর থানার পাচবাড়ীয়ার কিয়ামুদ্দিন হাসানের ছেলে। ফয়সাল গাজীপুর বাসন থানার চান্না মাহাবুব স্কুল মোড় এলাকায় ভাড়া থাকেন।
রবিউল আরও বলেন, “তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঠিক কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, তার সঠিক তথ্য বের করা হচ্ছে। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হবে।”
নিহত সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন।
বৃহস্পতিবার রাতে চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বড়ভাই মো. সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেছিলেন।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...