এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদিনী গার্মেন্টসে চাকুরি করেন। তার বড় ও ছোট মেয়ে দুজনেই মহিলা মাদ্রাসার বোডিং এ থাকিয়া নাজেরা বিভাগে পড়া লেখা করিত। বড় মেয়ে অসুস্থ হওয়ায় তিনি দুই মেয়েকে মাদ্রাসার বোডিং থেকে বাসায় নিয়ে আসেন। গত ১৮/০৫/২০২৫ইং তারিখ দুই মেয়েকে ভাড়া বাসায় রেখে গার্মেন্টসে চলে যান। উক্ত তারিখ দুপুর অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার সময় তার ৬ বছরে ছোট মেয়ে বাসার বাহিরে খেলতে গেলে পাইনাদি নতুন মহল্লা সাকিনস্থ মহিউদ্দিন আল মামুন এবং কামরুজ্জামান এর যৌথ মালিকানা বিল্ডিং এর দারোয়ান মাসুদ (৩৫) মেয়েটির মুখ চেপে ধরে উক্ত বিল্ডিং এর গার্ড রুমে নিয়ে যায় এবং মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক প্যান্ট খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ঐ সময় মেয়ে ভয় পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে এবং উক্ত ঘটনার বিষয়ে মাকে বলে দিবে বলিলে আসামী মাসুদ শিশুটিকে গার্ড রুমে রেখে পালিয়ে যায়। তখন শিশুটিও সুযোগ পেয়ে গার্ড রুম থেকে বের হয়ে আসে। বাদিনী গার্মেন্টস থেকে বাসায় ফিরলে মেয়ে কান্না করে উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানায়। পরবর্তিতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণের চেষ্টা মামলা রুজু করেন।
মামলাটি রজু হওয়ার পর উক্ত মামলার এজাহার নামীয় একমাত্র আসামি মাসুদ’কে গ্রেফতারের জন্যে র্যাব-১১, সদর কোম্পানী, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ এবং র্যাব-৪, মিরপুর, ঢাকা যৌথভাবে গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। পরবর্তীতে র্যাব-১১, সদর কোম্পানী, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ এবং র্যাব-৪, মিরপুর, ঢাকা এর একটি যৌথ আভিযানিক দল নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্যের ভিত্তিতে ২৬ মে, ২০২৫ ইং তারিখ রাত ১৪:২০ ঘটিকায় সময় ডিএমপি, ঢাকার পল্লবী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার একমাত্র আসামি মাসুদ (৩৫), পিতা- মাওলানা আব্দুল মান্নান, সাং- পাশাপুর, থানা-লাকসাম, জেলা-কুমিল্লা এ/পি- পাইনাদী নতুন মহল্লা থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...