সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিকদের প্রতি তাচ্ছিল্য: নেতা হওয়ার উন্মাদনায় অচিরেই অব্যাহত অবনতি অনিবার্য হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা রাজপথে রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে:  মাওলানা ফেরদাউসুর  ফতুল্লায় চুন্নুর ভাতিজাদের তাণ্ডব, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা! ফতুল্লায় আজমেরী সমর্থকদের ঝটিকা মিছিল’ বিএনপির ধাওয়া বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ এবং আহতদের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রিজভী ভোক্তা সচেতনতার নবযাত্রা শুরু করলো সিসিএস নারায়ণগঞ্জ বদলগাছীতে দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে সমৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় উপজেলা দিবস উদযাপন জগন্নাথপুরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে একজন নিহত চড়-থাপ্পড় দেওয়াকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে কিশোর পায়েল খুন, গ্রেফতার-৪ নাসিকের আহ্বান কোরবানির পশুর হাটের১৭টি স্থান
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি হয়েও প্রকাশ্যে তাণ্ডব চালাচ্ছে মুন্না, শেল্টারদাতা কে?

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ৮৭৬ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে পতন হয় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনামলের। ছাত্র আন্দোলনের সেই সময়টাতে ক্ষমতার মসনদ ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর তাণ্ডব এখনো শরীরে ভয়ের শিহরণ জাগায়। হাজার হাজার মানুষকে পাখির মতো গুলি করে ও পিটিয়ে হত্যা করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এখনো যারা আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে বেঁচে আছেন তাদের কাছে সেই দিনগুলো ছিল দুঃস্বপ্নের মত। কিন্তু সে মানুষগুলো সহ সারা দেশের মানুষ মুক্তির নিশ্বাস ফেলে স্বৈরাচারীর কবল থেকে মুক্তির জন্য। অর্জিত হয় দ্বিতীয় স্বাধীনতা ৫ আগস্ট।


কিন্তু পাঁচ মাসের মাথায় এসে প্রশ্নবিদ্ধ হতে শুরু করেছে সেই অর্জন। এখনো আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা রক্তচক্ষুর ভয়ে জিম্মি করে রাখতে চাচ্ছে সাধারণ জনগণকে।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের কাশিপুর ভোলাইল শান্তিনগরে মুন্না নামক এক ছাত্রলীগের ক্যাডারের তাণ্ডবে আতঙ্ক বিরাজ করছে শান্তিনগর এলাকায়। জানাযায় মুন্না কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ সুরুজ ব্যাপারীর ছেলে। এ বছরই নিজেদের ব্যবসায় সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের কারণে প্রকাশ্য কুপিয়ে খুন করা হয় সুরুজ বেপারীকে। সংসদ সদস্য গডফাদার খ্যাত শামীম ওসমান ও তার ছেলে অয়ন ওসমানের ক্যাডার বাহিনীর অন্যতম সদস্য এই মুন্না।

এ মুন্নার হাত দিয়ে কাশিপুর বিসিক অঞ্চলের আধিপত্য ধরে রাখতো শামীম ওসমান অয়ন ওসমান।
মুন্না ও অন্যান্য শীর্ষ স্থানীয় ক্যাডারদের ভয়ে শত জুলুম নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করতো সাধারণ মানুষ। কিন্তু ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর আওয়ামী লীগের দোসররা গা ঢাকা দিলে মুন্নাও এলাকা থেকে সটকে পরে। বর্তমানে সেই সন্ত্রাসী মুন্না পুনরায় এলাকায় এসে তান্ডব চালাতে তৎপর। এখনও কিভাবে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে এভাবে ঘুরে বেরায় ও দাপট দেখায় তা বোধগম্য নয় কারে। উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামি এই মুন্না।

বিগত দিনে মুন্না ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডবে তৎকালীন বিএনপির রাজনীতি করা নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো সহ হামলায় জর্জরিত করে রাখা হতো। অভিযোগ আছে মুন্না তার বাহিনী চান মিয়া, ফয়সাল, শরিফ, সোহেল, রাজা বাদশাহসহ শতাধিক ক্যাডার বাহিনী নিয়ে তান্ডব চালাতো এলাকায়। বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে, মুন্নার বাবা সুরুজ ব্যাপারীর হত্যার পিছনে তাদের নিজেদের ব্যাবসা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব মূল কারণ ছিল। হীরা বাহিনী ও সাল্লু বাহিনীর দ্বন্দ্বকে ঘিরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সুরুজ ব্যাপারীকে। সিসি ক্যামেরা ফুটেজে তা লক্ষ করা হয় কিন্তু শুধু মাত্র বিএনপির রাজনীতি করার কারনে কাশীপুর ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছেট সোহেল ও তার পরিবারকে মামলার আসামি করা হয়। তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করাই ছিল মুন্নার মূল লক্ষ।


৫ আগষ্টের পর সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও তা ছিল সাময়িক। বর্তমানে মুন্না ও তার বাহিনী পুনরায় মহরা দিয়ে শান্তি নগর ও এর আশ পাশের এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার পায়তারায় রয়েছে।


এতোকিছুর পরও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কিভাবে ও কার শেল্টারে দিব্বি বহাল তবিয়তে আছে তা খতিয়ে দেখার দাবী নিরীহ সাধারণ এলাকাবাসীর। সেই সাথে মুন্না ও তার বাহিনীকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী করেন এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..