দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো বক্তাবলি ইউনিয়ন বিএনপিতে। আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী ত্যাগী, পরীক্ষিত ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে নতুন কমিটি। এই যুগোপযোগী ও সুনির্দিষ্ট কাঠামোর কমিটি গঠনে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম উৎসাহ, উচ্ছ্বাস ও সন্তুষ্টি।
নবগঠিত কমিটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো—বিগত দিনের রাজনৈতিক অস্থিরতা, দমন-পীড়ন ও আন্দোলন পর্বে যারা রাজপথে ছিলেন, সেইসব ত্যাগী নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বক্তাবলি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল করবে।
স্থানীয় নেতারা বলেন, “এই কমিটি হলো প্রকৃত অর্থেই ত্যাগ ও নিষ্ঠার স্বীকৃতি। যারা কঠিন সময়ে দলের পাশে ছিলেন, তারাই আজ নেতৃত্বে। এতে আমাদের প্রেরণা বেড়েছে বহুগুণ।”
নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ জানান, “দলকে আরও শক্তিশালী করতে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। বক্তাবলি ইউনিয়ন বিএনপিকে জেলার মধ্যে একটি মডেল ইউনিয়নে পরিণত করাই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
বক্তাবলি ইউনিয়ন বিএনপির এই নতুন কমিটি স্থানীয় রাজনীতিতে যেমন আশার আলো দেখিয়েছে, তেমনি প্রমাণ করেছে—ত্যাগ ও সততার রাজনীতি এখনও মূল্যায়িত হয়। এই কমিটির মাধ্যমে দলের কার্যক্রমে নতুন প্রাণ ও গতি সঞ্চার হবে বলে বিশ্বাস সকলের।
বক্তাবলি ইউনিয়ন বিএনপির নবগঠিত কমিটি এবার সত্যিকারের ত্যাগ ও সংগ্রামের মূল্যায়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। কমিটিতে নজরুল ইসলাম প্রধান সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন নূর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মতিউর রহমান ফকির, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে আছেন রাসেল প্রধান, এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন হালিম আজাদ ও বাদশা মিয়া। মোট ৭১ সদস্যবিশিষ্ট এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়েছে দুই বছর মেয়াদে। বিশেষ করে এই কমিটিতে তাদেরই স্থান দেওয়া হয়েছে, যারা সাতই জানুয়ারির ফ্যাসিস্ট সরকারের একতরফা নির্বাচনের আগে ও পরে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন— যারা গুলি খেয়েছেন, জেল খেটেছেন, হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন এবং দলের দুর্দিনে কোনো ভয় না পেয়ে মাঠে থেকেছেন। এই ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নিয়েই কমিটি গঠনের ফলে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে যেমন আত্মতৃপ্তি এসেছে, তেমনি বিভিন্ন মহলে এই পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়েছে। বক্তাবলি ইউনিয়ন বিএনপি এই কমিটির মাধ্যমে আবারও প্রমাণ করেছে—দলীয় দুঃসময়ে যারা সাথী ছিল, নেতৃত্বের আসনে বসার ন্যায্য দাবিদার তারাই।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...