উত্তরা দিয়াবাড়ির আকাশে যেন হঠাৎ করেই নেমে এলো এক বিভীষিকাময় অন্ধকার। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শান্ত, শিক্ষায় মুখর ক্যাম্পাস হঠাৎই পরিণত হলো মৃত্যুপুরীতে—যেখানে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অকালে ঝরে গেল বহু নিষ্পাপ শিশু শিক্ষার্থীর প্রাণ। আহত হলেন শিক্ষক, অভিভাবকসহ অসংখ্য মানুষ। গোটা জাতি এখন স্তব্ধ, বাকরুদ্ধ, শোকস্তব্ধ।
এই হৃদয়বিদারক ঘটনার পর গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী, মডেল গ্রুপের কর্ণধার ও মানবিক হৃদয়ের মানুষ মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন,
“এই দুর্ঘটনা কেবল একটি খবর নয়, এটা প্রতিটি অভিভাবকের দুঃস্বপ্ন, একটি জাতির হৃদয়ে রক্তক্ষরণ। আমরা হারিয়েছি আমাদের স্বপ্ন, আমাদের ভবিষ্যৎ। যারা হারিয়ে গেছে, তারা কেবল একটি স্কুলের শিক্ষার্থী নয়, তারা ছিল জাতির আগামী দিনের আলোকবর্তিকা।”
তিনি আরও বলেন,
“আমি নিহত প্রত্যেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও আহতদের জন্য গভীরভাবে ব্যথিত। তাদের পরিবার যেন এই কঠিন সময় অতিক্রম করতে পারে—সেই প্রার্থনাই করছি। পাশাপাশি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।”
মানবিক কাজের জন্য পরিচিত এই রাজনীতিক আরও জানান,
“আমার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যা যা সম্ভব, আমি সেই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে থাকব। এই ক্ষতিকে আমরা ভাগ করে নিতে চাই—কারণ এই শোক শুধু কারও একার নয়, আমাদের সবার।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন,
“শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান চালানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা জরুরি। এমন দুর্ঘটনা যেন আর কখনো না ঘটে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।”
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তেই চিৎকার, কান্না, আতঙ্ক আর দুঃসহ বাস্তবতায় ঘেরা হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা।
আজকের এই কালো দিনের স্মৃতি হয়তো সময়ের সঙ্গে পুরনো হয়ে যাবে, কিন্তু যারা হারিয়ে গেল, তাদের শূন্যতা কোনো দিন পূরণ হবার নয়।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...