সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপির মনোনয়ন চান ছয়জন, সবদিকে এগিয়ে মাহবুবুর রহমান সরকার বিস্ফোরণ মামলায় মীর্জা ফখরুলসহ ৬৫ জনকে অব্যাহতি ২৪ ঘন্টা না যেতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আবারো দুর্ঘটনা, নিহত আরও ৩ খুলনায় ট্রলার-ফেরি মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিশুসহ নিখোঁজ ৩ আবহাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ আপডেট! ভারী থেকে অতিভারী বর্ষনের সতর্কতা! আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দলীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক আচরণ চাই: মাসুদুজ্জামান মাসুদ বন্দরে ২৮ ড্রাম চোরাই পামওয়েলসহ দুইজন গ্রেফতার ফাঁদ পেতে ভূয়া সার্টিফিকেট/আইডি কার্ড তৈরির দোকানে অভিযান, বিপুল সংখ্যক ভুয়া সার্টিফিকেট, আইডি, দলিল উদ্ধার  ফতুল্লায় চোরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মানুষ, সাংবাদিক সুজনের বাড়িতে দুর্ধষ চুরি  যৌথবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র সহ যুবক গ্রেপ্তার 
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন

বগুড়া শেরপুরের বারোদুয়ারি হাট এখন দখল বাণিজ্যের কবলে, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

মিন্টু ইসলাম / ৪০ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

‎বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের দেড়শ’ বছরের প্রাচীন বারোদুয়ারি হাট দখল আর ভাড়া বাণিজ্যের কবলে পড়ে দিন দিন জৌলুস হারাচ্ছে। এক সময়ের জমজমাট এই হাট এখন স্থায়ী দোকান ঘরের সারিতে পরিণত হচ্ছে। নেই আগের মতো ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম। এক সময় এ হাট থেকে পৌরসভা মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় করলেও বর্তমানে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
‎অনুসন্ধানে জানা যায়, শেরপুর পৌরসভার হাটখোলা এলাকায় প্রায় ৭৩টি দোকান খাস জায়গা দখল করে যুগের পর যুগ ব্যবসা চালাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। কেউ ২০ বছর, কেউ ৩০ বছর ধরে এসব দোকান ভোগদখলে রেখে ব্যবসা করছে। এছাড়াও বাড়ি ঘর নির্মাণ, গোডাউন নির্মাণ করে দখল করা হচ্ছে হাটের জমি। প্রভাবশালীরা এসব দোকান থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ভাড়া আদায় করলেও সরকারের কোষাগার থাকে ফাঁকা। শুধু এই হাট থেকেই প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হওয়ার কথা থাকলেও তা চলে যাচ্ছে প্রভাবশালীদের পকেটে। দোকানগুলোর মালিকানা পরিবর্তন করে এখন মোটা অঙ্কের ভাড়ায় অন্যদের কাছে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে বড় দোকানের মাসিক ভাড়া ১৫ হাজার টাকা আর ছোট দোকানের ভাড়া ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত হলেও এসব দোকান থেকে সরকার বা পৌরসভা কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। কাজল নামের এক দোকানদার জানান, আমার আত্মীয় পৌরসভার কাছ থেকে লিজ নিয়েছিল। আমি আবার তার কাছ থেকে নিয়ে ২৫ বছর ধরে দোকানদারি করে আসছি। পৌরসভায় শুধু ট্যাক্স-ভ্যাটদিই, কিন্তু ভাড়া দিতে হয় না। চুরিপট্টির প্রভাত বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত জায়গা। প্রায় ৩০ বছর ধরে ভোগ দখল করছি। পৌরসভাকে মাসিক ভাড়া দিতে হয় না, কেবল হাটের দিনে খাজনা দিতে হয়। তবে চাইলে পৌরসভা মুহূর্তেই ভেঙে দিতে পারে। তাকে প্রশ্ন করা হয় কিভাবে ব্যক্তিগত জায়গা হল এই প্রশ্নের তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। চাউল হাঁটি এলাকার খলিল হাজি জানান, এই লাইনের সব দোকান ব্যক্তি মালিকানাধীন। আমরা শুরু থেকেই ওই মালিককে ভাড়া দিচ্ছি। বড় দোকানের মাসিক ভাড়া ১৫ হাজার টাকা আর ছোট দোকানের ১০ হাজার টাকা। পৌরসভা কিছুই পায় না। এব্যাপারে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, শেরপুর হাট থেকে নিয়মিত রাজস্ব পাওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয়দের দখলের কারণে পৌরসভা প্রাপ্য আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক আশিক খান বলেন, অবিলম্বে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে সঠিক নীতিমালার আওতায় দোকান বরাদ্দ ও ভাড়া আদায় করা হবে। ব্যবস্থা না নিলে শেরপুর হাট পুরোপুরি ব্যক্তিগত মালিকানায় চলে যাবে, যা সরকারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হবে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..