সংবাদ শিরোনাম :
বিস্ফোরণ মামলায় মীর্জা ফখরুলসহ ৬৫ জনকে অব্যাহতি ২৪ ঘন্টা না যেতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আবারো দুর্ঘটনা, নিহত আরও ৩ খুলনায় ট্রলার-ফেরি মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিশুসহ নিখোঁজ ৩ আবহাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ আপডেট! ভারী থেকে অতিভারী বর্ষনের সতর্কতা! আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দলীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক আচরণ চাই: মাসুদুজ্জামান মাসুদ বন্দরে ২৮ ড্রাম চোরাই পামওয়েলসহ দুইজন গ্রেফতার ফাঁদ পেতে ভূয়া সার্টিফিকেট/আইডি কার্ড তৈরির দোকানে অভিযান, বিপুল সংখ্যক ভুয়া সার্টিফিকেট, আইডি, দলিল উদ্ধার  ফতুল্লায় চোরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মানুষ, সাংবাদিক সুজনের বাড়িতে দুর্ধষ চুরি  যৌথবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র সহ যুবক গ্রেপ্তার  ৮ কেজি গাঁজাসহ দুই যুবক আটক 
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৪৯ অপরাহ্ন

ছাত্র হত্যার মামলাকে পূজি করে কোটি টাকা বানিজ্য ওসমান পরিবারের আশ্রিত দোসর সাখাওয়াতের

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ২৯ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

আসছে ২৮ আগষ্ট ২০২৫ অনুষ্ঠিত হতে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বি বার্ষিক নির্বাচন। এই নির্বাচনে সাখাওয়াত পন্থী ও বিএনপির বিদ্রোহী গ্ৰুপ আলাদা পেনেল দিয়েছে। অন্যদিকে জামায়াত ইসলাম ও আলাদা পেনেল দিয়েছে এই নির্বাচনে। সাম্প্রতিক নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় এই নির্বাচনের খবর ঘুরপাক খাচ্ছে। সাখাওয়াত ভোটারদের ভোট জয় করার জন্য একাধিক কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিএনপির বিদ্রোহী গ্ৰুপকে ওসমান দোসর বলে আখ্যায়িত করে যে বক্তব্য দিয়েছে তা সমুচিত নয়। সাখাওয়াত এর গলাবাজি আর চাপাবাজির কারণে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে তার পেনেল। অন্যদিকে জামায়াতের রয়েছে ভোট ব্যাংক যার ফলে জামায়াত বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সাখাওয়াত মুলত নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য যখন যার পা ধরার প্রয়োজন সেটাই করে। সাম্প্রতিক সময়ে সাখাওয়াত মডেল মাসুদকে কারাগারে পাঠানোর হুমকি দিয়ে বলেন তার যায়গা হবে কারাগারে এবং ওসমান পরিবারের লোক মাসুদ। এখন দেখা যাক কে এই সাখাওয়াত হোসেন। মুন্সীগঞ্জ থেকে একটি সাট আর একটা পেন্ট নিয়ে নারায়ণগঞ্জে লজিং হিসেবে থেকে পড়াশোনা করে আইনজীবী হয়ে পেশায় নিয়োজিত হন। বিগত ১৬ বছরের মধ্যে তার নাম গন্ধ না থাকলেও আলোচিত সেভেন মাডার মামলা পরিচালনা করে পরিচিত হন। আর তখনই ওসমান পরিবারের নজরে আসে সাখাওয়াত হোসেন। ২০১৬ সালে মেয়র নির্বাচনে ওসমান পরিবারের কাছ থেকে দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় সাখাওয়াত। শুধু তাই নয় তার স্ত্রীকে সেলিম ওসমানের এপিএস হিসেবে নিয়োগ দিয়ে তিনি বিগত ১৬ বছর হরহামেসেই বসবাস করেছে শহরে।৫ আগস্টের পর সাখাওয়াত এর কপাল খুলেছে।ছাএ হত্যার মামলাকে বানিজ্য করে লাখ লাখ টাকা কামিয়েছে সাখাওয়াত ও আবু আল ইউসুফ খান টিপু। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় যে মামলা গুলো হয় রাজনৈতিক সেই মামলা গুলো থেকে নাম প্রত্যাহার করার জন্য আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা বানিজ্য করেছে এই সাখাওয়াত টিপু। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে সদর থানার একটি ছাএ হত্যার মামলাকে পূজি করে আওয়ামী লীগের জাকিরুল আলম হেলালের নাম অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা নিয়েছে সাখাওয়াত টিপু। এখন প্রশ্ন হলো জিনি নিজেই ওসমান পরিবারের লোক এবং তার স্ত্রী ছিলেন ওসমানের এপিএস সে আবার কি ভাবে আইনজীবী সমিতির বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীদের বলে তারা সেলিম ওসমানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। অন্যদিকে মডেল মাসুদকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় পাঁচ আসনের জনগণের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মেডিন মুন্সীগঞ্জ বলে মেডিন নারায়ণগঞ্জে জেল হাজতে রাখার হুমকি দেয়।মুলত সাখাওয়াত হচ্ছে লুভি প্রকৃতির লোক টাকার লোভে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ব্যাক্তি বর্গদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে। সাখাওয়াত ভেবেছে এই ধরনের মন্তব্য করলে মডেল মাসুদ তাকে ওসমান পরিবারের মতো কোটি টাকার প্রস্তাব দিবে। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রচারণায় সাখাওয়াত এর ঘুম হারাম তবে এবার আইনজীবী সমিতির নির্বাচন একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মনে করেন আইনজীবীরা। কারন অতিতে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও এবারের মতো কখনো দেখা যায়নি। সাখাওয়াত এর মামলা বানিজ্য আর রাজনৈতিক ভিসেদকার বিএনপির জন্য হুমকি স্বরূপ হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে।

 

সূত্র : আলোকিত ডেস্ক:

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..