জগন্নাথপুরে থেমে থেমে টানা বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ ভোগান্তির মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছেন। এমনকি ব্যবসা – বানিজ্যে ধ্বস নেমেছে। এমনকি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে বন্যা আতংক বিরাজ করছে।
বিগত তিন দিন ধরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার উপর দিয়ে থেমে থেমে কখনো ভারী ও কখনো বজ্রপাত সহ হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বজ্রপাত আর বৃষ্টিপাতের কারণে জনসাধারণ ঘরের বাইরে বেরুতে সাহস পাচ্ছেন না। বিত্তশালীরা যেমন-তেমন বিশেষ করে শ্রমজীবি দিনমজুর নিম্ন আয়ের মানুষেরা চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। এমনকি প্রবল বৃষ্টিপাতে আর উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা, নলজুর, ডাউকা ও রত্না সহ উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে হাওরে প্রবেশ করার পাশা-পাশি নিম্নাঞ্চলের বাড়ীঘর প্লাবিত হওয়ার সম্মুখীন হয়ে পড়ছে। এতে করে জনমনে বন্যা আতংক বিরাজ করছে। ৩১শে মে রোজ শনিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ও জানা গেছে, অতি বৃষ্টির ফলে একমাত্র অফিস -আদালতগামীরা বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করলেও হাট-বাজারে ও সড়ক পথে জনসাধারণের চলাচল নেই বললেই চলে। যার ফলশ্রুতিতে সিএনজি, রিক্সা ও অটোরিক্সা চালকদের রোজগারে ভাটা পড়ার পাশা-পাশি হাটবাজার এর ব্যবসা বানিজ্যে ধ্বস নেমেছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন হাটবাজার এর একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, ব্যবসা ভাল যাচ্ছে না কর্মচারী খরচ ও দোকান ভাড়া উপরে পড়ছে। বৃষ্টিপাত না কমলে বড় অংকের লোকসান গুনতে হবে।
বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট যানবাহন চালক তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, বৃষ্টির কারনে সড়কে জনসাধারণ এর চলাচল একেবারে কম থাকায় রোজীরোজগার হচ্ছে না। বাজার -সদাই করে বাড়ী ফেরা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ৩/৪ দিন ধরে খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছি।
হতদরিদ্র দিনমজুর কালা মিয়া, বারীক মিয়া ও সুহেল সহ একাধিক ব্যক্তি তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, বৃষ্টি বাদলের জন্য কাজে যেতে পারছিনা। কয়েক দিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী মনছুট আলী, জহিরুল, আকুল, ফিরোজ ও আসকর মিয়া সহ একাধিক ব্যক্তি একান্ত আলাপকালে বলেন, টানা বৃষ্টিপাতে ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার পাশা-পাশি হাওরে প্রবেশ করছে। এবং বাড়ীঘরে উঠার উপক্রম হয়ে পড়েছে। কখন জানি বন্যা কবলিত হয়ে পড়ি সেই আশংকায় দিনাতিপাত করছি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...