সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিকদের প্রতি তাচ্ছিল্য: নেতা হওয়ার উন্মাদনায় অচিরেই অব্যাহত অবনতি অনিবার্য হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা রাজপথে রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে:  মাওলানা ফেরদাউসুর  ফতুল্লায় চুন্নুর ভাতিজাদের তাণ্ডব, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা! ফতুল্লায় আজমেরী সমর্থকদের ঝটিকা মিছিল’ বিএনপির ধাওয়া বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ এবং আহতদের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রিজভী ভোক্তা সচেতনতার নবযাত্রা শুরু করলো সিসিএস নারায়ণগঞ্জ বদলগাছীতে দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে সমৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় উপজেলা দিবস উদযাপন জগন্নাথপুরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে একজন নিহত চড়-থাপ্পড় দেওয়াকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে কিশোর পায়েল খুন, গ্রেফতার-৪ নাসিকের আহ্বান কোরবানির পশুর হাটের১৭টি স্থান
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন

নারায়ণগঞ্জে খেজুর রসের ঐতিহ্য ফেরাতে রস বাগিচা’র ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ৭০ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

একসময় প্রাচ্যের ড্যান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় ছিলো সারি সারি খেজুর গাছ। সেই সাথে শীতের সকালে গাছিরা খেজুর গাছ থেকে সুমিষ্ট রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করতেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন শীতে জবুথুবে হয়ে রস পান করতেন। কিন্তু এখন আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে না।

এই অবস্থায় খেজুর রসের সেই আগের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছেন একদল তরুণ।
জানা যায়, ‘রস বাগিচা’ ব্যানারে বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খেজুরের রসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। এবারের শীতে তারা ৪৬টি খেজুর গাছ নিয়ে কাজ করছেন। ক্রমান্বয়ে তারা গাছের সংখ্যা বাড়াবেন।

রস বাগিচা’ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইতোমধ্যে খেজুর গাছগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রস সংগ্রহ শুরু করবেন তারা। শীত বাড়লে খেজুরের রসের পরিমাণও বাড়বে। আশা করা হচ্ছে প্রতিদিন তাদের এই রস বাগিচা থেকে প্রায় ২৫০ থেকে ৩শ’ লিটার খেজুরের রস সংগ্রহ করতে পারবেন।

রস বাগিচার গাছি সেলিম বলেন, আমাদের এখানে ৪৬ টি খেজুর গাছ রয়েছে। আশাকরি প্রতিদিন এখান থেকে প্রায় ২৫০ থেকে ৩শ’ লিটার খেজুরের রস সংগ্রহ করতে পারবো। যা নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশ এলাকায় সরবরাহ করবো। কেউ যদি ইচ্ছা করেন তাহলে আমাদের বাগানে এসেও রস খেতে কিংবা সংগ্রহ করতে পারবেন। আমাদের এই বাগানের রসটাকে যথেষ্ট নিরাপদের ব্যবস্থা করা হবে।

আমরা জাল ব্যবহার করবো। হাড়ি ব্যবহার করবো। যাতে করে বাদুড় যেন রসকে নষ্ট করতে না পারে। সর্বোপরি রসের মান পরিপূর্ণভাবে বজায় রাখার চেষ্টা করবো।

রস বাগিচার অ্যাডমিন মোস্তাফিজুর রহমান সাদরিল বলেন, গত বছর এখান থেকে ৩ থেকে ৪শ’ লিটার রস সংগ্রহ করা হয়েছে। এবার আমরা আশা করছি প্রতিদিন গড়ে ২শ’ থেকে ২৫০ লিটার পাবো। এর কমবেশি হতে পারেন। আশানুযায়ী রস সংগ্রহ করতে পারলে লাভবান হতে পারবো। তবে আমরা লাভের থেকে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে খেজুর রসের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে শীতের আমেজটাকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করার জন্য খেজুর পাতা দিয়ে তাবু বানানো হবে। গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। কেউ যদি পিকনিক করতে চান তাহলে সেই ব্যবস্থা এখানে করা হবে।

রস বাগিচার প্রধান অ্যাডমিন জোবায়ের হোসেন নুর বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলাতেই খেজুরের গাছ দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু শহরাঞ্চল বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ সহ আশপাশ এলাকায় খেজুরের গাছ বিলুপ্তির পথে। তারপরেও আমরা এখানে অনেকগুলো খেজুর গাছ পেয়েছি। যা আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো। আমরা চাচ্ছি এগুলো পরিচর্চা করে খেজুরের রস নামানোর জন্য।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মুহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে খেজুর গাছ এবং এর রস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পুষ্টিগুণ এবং মিষ্টতায় এর জুড়ি মেলা ভার। খেজুরের রসের গুড় আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয়। নারায়ণগঞ্জে একসময় খেজুর গাছ লক্ষ্য করা গেলেও শিল্পায়ন ও আবাসনসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। পতিত জায়গায় ও রাস্তার পাশে খেজুরগাছ রোপণে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সেই সাথে যারা খেজুরের রস নিয়ে কাজ করছেন তাদেরকে আমরা উৎসাহিত করছি।

 

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন ডট কম

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..