সংবাদ শিরোনাম :
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার বিএনপির মনোনয়ন চান ছয়জন, সবদিকে এগিয়ে মাহবুবুর রহমান সরকার বিস্ফোরণ মামলায় মীর্জা ফখরুলসহ ৬৫ জনকে অব্যাহতি ২৪ ঘন্টা না যেতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আবারো দুর্ঘটনা, নিহত আরও ৩ খুলনায় ট্রলার-ফেরি মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিশুসহ নিখোঁজ ৩ আবহাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ আপডেট! ভারী থেকে অতিভারী বর্ষনের সতর্কতা! আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দলীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক আচরণ চাই: মাসুদুজ্জামান মাসুদ বন্দরে ২৮ ড্রাম চোরাই পামওয়েলসহ দুইজন গ্রেফতার ফাঁদ পেতে ভূয়া সার্টিফিকেট/আইডি কার্ড তৈরির দোকানে অভিযান, বিপুল সংখ্যক ভুয়া সার্টিফিকেট, আইডি, দলিল উদ্ধার  ফতুল্লায় চোরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মানুষ, সাংবাদিক সুজনের বাড়িতে দুর্ধষ চুরি 
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন

বিনামূল্যের পাঠ্যবইয়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ, অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ৭৪ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৫

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আধাইপুর ইউপির বিষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনা মূল্যের পাঠ্যবইয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে সাত-আটজন অভিভাবক বলেন, বিষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই পেতে শিক্ষার্থীদের টাকা গুনতে হয়েছে। প্রতি সেট বইয়ের জন্য শিক্ষকেরা ২০০ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন।
উপজেলার আধাইপুর ইউপি বিষ্ণপুর বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী রসূলপুর গ্রামের আবু তালেব এর স্ত্রী বলেন, আমার মেয়ে রুবাইয়া ইয়াসমিন চতুর্থ শ্রেনীতে রয়েছে, তার জন্য পাঠ্যবই নিতে গেলে প্রধান শিক্ষাক লিলি পারভীন ২০০ টাকা দাবি করেন। এছাড়াও ঐ এলাকার তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী নন্দ, অরন্য সহ আরো অনেকের কাছে থেকে পাঠ্যবই দিয়ে ২০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. লিলি পারভীন বলেন, পাঠ্যবইয়ের জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। আমরা গরীর শিক্ষার্থীদের দারিদ্র্যতা বিমোচনের জন্য ২০০ টাকা করে নিয়েছি, পাঠ্যবই বিতরণের প্রথম দিন মোট ৯ জনের কাছে ২০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। এই টাকা ও আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অনুদান একত্র করে তাদের মধ্যেই পূনরায় বিতরণ করা হয়। দারিদ্র্য পরিবারের শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া এবং নতুন বই বিতরণের সময় যে টাকা নেওয়া হয় তার কোন কমিটির রেজুলেশন রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন কাগজপত্র তো নেই।

উপজেলার রসূলপুর গ্রামের মাফিজুল শ্রীকৃষ্ণ সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো অনেকে জানান, প্রধান শিক্ষক নিজ এলাকার সুবাধে আরো আগে থেকেই স্কুল সংস্কারের কথা বলে এ রকম টাকা নেয়। যার কোন হিসেবে পত্র নেই। এভাবে একটি সরকারি স্কুলে বিনামূল্যে বই দেওয়ার দিনে নগদ টাকা নেওয়া পুরোপুরি অনিয়ম। আমরা এর একটা সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।

মুঠোফোনে কথা হলে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান জানান, বিষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমি নিজে উপস্থিত থেকে বিনামূল্যে বই বিতরণ করেছি। তখন কোন টাকা নেওয়া হয়নি। আপনি চলে যাওয়ার পরে এমন কাজ করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন প্রাধান শিক্ষক লিলি পারভীন এমন কোন নিয়ম রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আন-অফিসিয়াল, এমন কোন নিয়ম নেই। তবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অভিভাবকগণ সমন্বয়ে বিদ্যালয়ের মান উন্নয়নের জন্য তারা নিজেরাই এ রকম উদ্যোগ হয়তো নিয়েছে। তবে তার জন্য লিখিত রেজুলেশন এবং কমিটি থাকতে হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, পাঠ্যপুস্তক দেওয়ার নামে কোন টাকা অথবা দারিদ্র্য বিমোচন ও অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নের জন্য আলাদা কোন টাকা নেওয়ার নিয়ম অফিশিয়ালভাবে নেই। তবে বিষয়টি আমার জানা নেই, সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু
বিশেষ প্রতিনিধি,

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..