সিলেটে স্বাস্থ্য ও পুষ্টির সমন্বয়: স্বাস্থ্য বিভাগ এবং নিউট্রিশন সেলস এজেন্ট এর সাথে সমন্বিত কর্মশালা
স্টাফ রিপোর্টার: উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস, সিলেট সদর ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর সহযোগিতায় আইডিই বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে “স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সমন্বয়” শীর্ষক একটি সমন্বিত কর্মশালা গ্র্যান্ড সিলেট-এ অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালাটির মূল লক্ষ্য ছিল স্বাস্থ্য বিভাগ ও নিউট্রিশন সেলস এজেন্টদের (NSA) মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা, যাতে তারা একসাথে কাজ করে সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবার উন্নতি করতে পারে।
কর্মশালায় ৮০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের অফিসার, মেডিকেল অফিসার, স্বাস্ব্যকর্মী; সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ফিন্ড স্বাস্থ্য কর্মী, শেভরন প্রতিনিধি, উদ্যোক্তা প্রকল্প টিম এবং নিউট্রিশন সেলস এজেন্ট (NSA) গণ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মনিসর চৌধুরী, সিভিল সার্জন, সিলেট, বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাঃ মোঃ জাহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, এবং ডাঃ আহমদ সিরাজুম মুনীর, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, সিলেট সদর। কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন মো. হান্নান আলী, প্রযেক্ট ম্যানাজার, উদ্যোক্তা এলডিএসসি প্রকল্প, iDE বাংলাদেশ।
প্রকল্প ম্যানেজার মো. হান্নান আলী কর্মশালার শুরুতে NSAs দের ক্ষমতায়ন এবং টেকসই উপায়ে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, NSAs এবং স্বাস্থ্য বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা সম্প্রদায়ের জন্য অধিকতর মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (সিলেট সদর), ডাঃ আহমদ সিরাজুম মুনীর বলেন:
“এই কর্মশালা স্বাস্থ্য খাত ও NSA-দের মধ্যে সহযোগিতার একটি চমৎকার দৃষ্টান্ত। NSA-রা যদি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা নীতিমালা মেনে চলে, তাহলে তারা আরও দক্ষতার সাথে সম্প্রদায়ের কাছে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পণ্য পৌঁছে দিতে পারবে।”
প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, ডাঃ মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন:
“এই উদ্যোগ স্বাস্থ্যসেবা ও NSA-দের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় বাড়াবে, যা পুরো সম্প্রদায়ের জন্য উপকারী হবে। আমি iDE বাংলাদেশকে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানাই।”
সিভিল সার্জন, সিলেট, ডাঃ মনিসর চৌধুরী বলেন:
“এই কর্মশালার মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মী ও NSA-দের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও কার্যকর সমন্বয় তৈরি হয়েছে, যা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও দরজায় দরজায় স্বাস্থ্য পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।”
শেভরন বাংলাদেশের ফিল্ড কর্পোরেট ম্যানেজার, খন্দকার তুষারুজ্জামান বলেন:
“iDE বাংলাদেশ NSAs-দের ক্ষমতায়ন এবং তাদের ব্যবসায়িক টেকসই উন্নয়নে অসাধারণ কাজ করছে। এই উদ্যোগ তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করবে এবং স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।”
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন: উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের মেডিকেল অফিসার, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারী ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী; সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভ্যাক্সিনেটর সুপারভাইজার, সুপারভাইজর, এমটি (EPI) কর্মকর্তা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মী এবং NSAs এবং উদ্যোক্তা প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট সদস্যরা।
কর্মশালায় আলোচনার মূল বিষয়গুলো ছিল- সম্প্রদায়ের সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের কাজের চ্যালেঞ্জ ও NSA-দের ভূমিকা, NSA-দের সেবা কার্যক্রম উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবার মানোন্নয়নে ভবিষ্যৎ সমন্বয় কৌশল।
কর্মশালার সমাপ্তি বক্তব্যে সিভিল সার্জন, সিলেট, এবং উদ্যোক্তা প্রকল্প ও স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান। অংশগ্রহণকারীরা এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে NSA ও স্বাস্থ্য বিভাগের মধ্যে আরও কার্যকরী সমন্বয় গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...