সংবাদ শিরোনাম :
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার বিএনপির মনোনয়ন চান ছয়জন, সবদিকে এগিয়ে মাহবুবুর রহমান সরকার বিস্ফোরণ মামলায় মীর্জা ফখরুলসহ ৬৫ জনকে অব্যাহতি ২৪ ঘন্টা না যেতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আবারো দুর্ঘটনা, নিহত আরও ৩ খুলনায় ট্রলার-ফেরি মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিশুসহ নিখোঁজ ৩ আবহাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ আপডেট! ভারী থেকে অতিভারী বর্ষনের সতর্কতা! আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দলীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক আচরণ চাই: মাসুদুজ্জামান মাসুদ বন্দরে ২৮ ড্রাম চোরাই পামওয়েলসহ দুইজন গ্রেফতার ফাঁদ পেতে ভূয়া সার্টিফিকেট/আইডি কার্ড তৈরির দোকানে অভিযান, বিপুল সংখ্যক ভুয়া সার্টিফিকেট, আইডি, দলিল উদ্ধার  ফতুল্লায় চোরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মানুষ, সাংবাদিক সুজনের বাড়িতে দুর্ধষ চুরি 
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৩০ অপরাহ্ন

যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা

স্বপ্নবাংলা নিউজ ডেস্ক / ১১৭ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আবু হানিফ রিমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা ও দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আঘাত ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া যায় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের বিরুদ্ধে।

গত ১৩ই আগস্ট সন্ধ্যা সাতটায় আড়াই হাজার উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মোড়ে আবু হানিফ রিমনের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটে।

আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আবু হানিফ রিমন আড়াই হাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া থানাধীন ইজারাকান্দি এলাকার বাসিন্দা।

অভিযোগ মতে জানা যায় গত ১৩ই আগস্ট বিকাল ৪টায় ইজারাকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন রিমন। অনুষ্ঠান শেষে মাগরিব নামাজের পর সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার দিকে নিজ বাড়িতে ফেরার সময় পথে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা ৫০-৬০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী রামদা চাপাতি চাইনিজ কুড়াল এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন আবু হানিফ রিমন। তার আর্ত চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হতে শুরু করলে হামলা-কারীরা কিছুটা পিছু হটে সেই সুযোগে আহত আবু হানিফ রিমন জীবন বাঁচাতে পাশের মনিরের দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন। এ সময় দূর থেকেই হামলাকারীরা তাকে দেখে নেওয়ার ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে দিতে চলে যায়।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত রিমনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর পরবর্তীতে সেখান থেকে যাত্রাবাড়ী ডেলটা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখনো আছেন।
আবু হানিফ রিমনের সাথে কথা বললে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ১৩ তারিখ সন্ধ্যা সাতটার দিকে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ৫০-৬০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী তার উপরে হামলা চালায়। প্রাণে মেরে ফেলায় তাদের উদ্দেশ্য ছিল তাদের মধ্যে মনিরের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করা হয়।
এছাড়া সিদ্দিকুর রহমান চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হাতে কোপ দেয় আরিফ রামদা দিয়ে কোপ দেয়। সিদ্দিকুর রহমান কলাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি।
নজরুল ইসলাম আজাদ এর নির্দেশে এই হামলা নেতৃত্ব দেন আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন। মোবারক এ সময়, “ওরে মেরে ফেল ওরে মেরে ফেল” বলতে থাকে। সেখানে হামলাকারী হিসেবে সুমন সাওন সজীব সহ আরো অনেককেই হামলাকারী হিসেবে চিনতে পেরেছেন বলে জানান আবু হানিফ রিমন।

এই বিষয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় যার অনুলিপি আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আড়াইহাজার উপজেলা দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব এর কাছেও দেয়া হয়েছে বলে জানান রিমন।
উক্ত ঘটনা এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে সেই সাথে আবু হানিফ এর পরিবার ও পরিবার অন্যান্য সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছে বলে তারা জানান। এ বিষয়ে দলীয় হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রিমন বলেন দলীয় কাজে সকল নির্দেশনা সব সময় মেনে চলেছি। আমি এই হামলার বিচার চাই।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..